পুরুষ মানুষের কান্না সাধারণত চোখে দেখা যায় না। ছোটবেলা থেকেই তাদের শেখানো হয় যে, পুরুষদের কাঁদা মানায় না, যতই কষ্ট হোক, চোখে জল আনা যাবে না। আর তাই তারা সবকিছু চাপা রেখে এগিয়ে চলে। অন্যদিকে, নারীরা সহজেই কাঁদতে পারে—রাগে, অভিমানে, বা কষ্টে। কিন্তু পুরুষের কান্না আসে গভীর যন্ত্রণা থেকে, কোনো ছলনা ছাড়াই।
যদি কোনো পুরুষ কাঁদে, বুঝতে হবে যে সে ভীষণ কষ্টে আছে। পুরুষেরা হয়তো সহজে কাঁদে না, তবে যখন কাঁদে, তা সত্যিই হৃদয় বিদারক। তারা কাঁদে একান্তে, ব্যর্থতার বেদনায়, সংসারের ভার সামলাতে না পারার হতাশায়, কিংবা প্রিয়জনের মন রাখতে গিয়ে। অনেক সময়, তারা নিজের জন্য যতটা না কেঁদেছে, তার চেয়েও বেশি কেঁদেছে অন্যের খুশির জন্য।
অনেক নারীই হয়তো জানে না, তাদের আবদার পূরণের জন্য একজন পুরুষ কতটা ত্যাগ করে, কতটা কান্না লুকিয়ে রাখে। ইতিহাস বলে, যে নারী একজন পুরুষের কান্নার কারণ হয়েছে, সে নিজেও কখনো শান্তি পায়নি। পুরুষের চোখের জল সহজে বৃথা যায় না, প্রকৃতি সেই কষ্টের প্রতিদান দেয়।
তবুও, পুরুষেরা শক্তিশালী। তারা দিনশেষে পরিবার, বাবা-মা, এবং প্রিয় নারীর আশ্রয় হয়ে ওঠে। আর যে নারী পুরুষকে কাঁদিয়ে নিজের জীবনে সফলতা চায়, তার জীবন ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে—কারণ একজন নারীর জীবনে পুরুষের স্থান স্রষ্টার পরেই।