ভূমিহীনদের ঘর উপহার দেওয়া দেশের মানুষের জন্য বড় উৎসব : প্রধানমন্ত্রী,
শেখ মাহাবুব আলম খুলনাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,মুজিববর্ষে গৃহহীন ভূমিহীনদের ঘর উপহার দেওয়া বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব। আজ আমার আনন্দের দিন। যাদের কিছুই ছিল না, তাদের ঘর দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে পেরেছি।
যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে, তখন আমার মা-বাবার আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহিদের আত্মা শান্তি পাবে। কারণ, এসব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তো ছিল আমার বাবার লক্ষ্য।
বাংলাদেশের মানুষের এর চেয়ে বড় উৎসব হতে পারে না। যারা ঘর পেয়েছেন, প্রত্যেককে নিজের ঘরের সামনে অন্তত একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত দুই শতাংশ জমির মালিকানার কাগজপত্রও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গৃহহীনদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ নিবাসের উপকারভোগী মানুষ সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বঙ্গবন্ধু নিজের কথা কখনো চিন্তাও করেননি। স্বাধীনতার পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে তিনি পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। সেটা বাস্তবায়ন করে যেতে পারলে বাংলাদেশের মানুষ অনেক আগেই উন্নত হতে পারত।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতের দৃঢ়প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে একটি মানুষও গৃহহীন-ঠিকানাহীন থাকবে না।
২১জুলাই সকালে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৬ হাজার ২শত ২৯টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পাকা ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর পূর্বে খুলনা-৪আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূশের্দী তিন উপজেলার উপকারভোগীদের মাঝে বক্তৃতায় বলেন,
১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নোয়াখালী জেলার (বর্তমানে লক্ষ্মীপুর) চরপোরাগাছা গ্রাম পরিদর্শনকালে ভূমিহীন, গৃহহীন ও অসহায় লোকদের পুনর্বাসনের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশের জন্য কল্যাণমুখী ও উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন,সারা দেশে গৃহ ও ভূমিহীন ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩ পরিবারকে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। মুজিববর্ষে বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশের পর এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো:ইউসুফ আলী,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন বাদশা,
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম,জাতীয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আজাদ আবুল কালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ যোবায়ের, ফারহানা ইয়াসমিন মনা, কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান, রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন, স্বাস্থ ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা: শেখ শফিকুল ইসলাম,
প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন,প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার মজুমদার,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পারভেজ মোল্যা,উপজেলা প্রকৌশলী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, সমবায় কর্মকর্তা প্রশান্ত মূখার্জী, পল্লীবিদ্যুৎ প্রকৌশলী এ হালিম,
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান বাবুল, ইসহাক সরদার, মো. কামাল হোসেন বুলবুল, মোল্যা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য আ: মজিদ ফকির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ সোরশেদুল আলম বাবু,
অধ্যক্ষ মো. মারুফুল হক, তথ্য আপা দীলশান আরা, সাবেক চেয়ারম্যান খান শাহজাহান কবির প্যারিস, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আসীত রায়, বিনয় কৃষ্ণ হালদারসহ সরকারী কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ এবং উপকারভোগীরা।