বি.এম.শহিদুল ইসলাম ,খুলনা প্রতিনিধি: রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুর্বপরিকল্পিত ভাবে খাবারের সাথে বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগ করে গত ৪ আগস্ট রাত ৮ টায় তিনটি উন্নত জাতের দুগ্ধজাত গাভীর মৃত্যু ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।ভুক্তভোগী ভগীরাথ বিশ্বাস এ ব্যপারে রূপসা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায় গতকাল সন্ধার পরে তিনটি গাভী গোয়ালে বাধা ছিল। এমন সময় বিদ্যুৎ গেলে বাড়ীতে অন্ধকার নেমে আসে এ সুযোকে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা গোয়ালে ঢুকে গাভীগুলিকে কলার সাথে বিষাক্তদ্রব্য খাইয়ে হত্যাকরে। বড় আকৃতির গাভী দুটি আট মাসের গর্ভবর্তী ছিল। এ নির্মমতার শেষ কোথায় গর্ভবতী গাভী মৃত্যুর পরেও পেটে থাকা বাচ্চা অর্ধেকটা বেড়িয়ে এসেছে। এ ঘটনা সকল বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। ভগিরথ বিশ্বাস গাভীর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে এবং মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগায়। এ ব্যপারে ভগীরথের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ভোলানাথ বিশ্বাসের ছেলে উত্তম বিশ্বাসের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকার কারণে উত্তম বিশ্বাস তার সহযোগীদের সহায়তায় এমন ঘৃণিত কাজ করেছে। উত্তম বিশ্বাসের প্রধান সহযোগী মহিত বিশ্বাস ও সম্ভু মল্লিক। এর পূর্বেও উত্তম বিশ্বাস আমি ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি প্রদান করেছিল। শতাধীক ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনীর মাধ্যমে আমার বসতভিটা মাছের ঘেরসহ বাড়ী দখলের চেষ্টা করেছিল। এমনকি আমাকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের জন্য আমার সমস্ত জমিজমার ভুয়া দলিল বানিয়েছিল। যা আদালতের মাধ্যমে উত্তমের ভূমিদষ্যুতা ও জাল দলিলের ঘটনা প্রমানিত হয়েছে। উত্তম বাহিনী থেকে বাচার জন্য আমি এমপি মহোদয়ের বরাবর, পুলিশ সুপার মহোদয়ের বরাবর, ডিআইজি খুলনা মহোদয়ের বরাবর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রূপসা থানায় সাধারণ ডাইরী করেছি। কোন কিছুর’ই তোয়াক্কা করছেনা উত্তম বাহিনী। আজ আমার ২ টি গর্ভজাত গাভী ও ১ টি গাভীকে মেরে ফেলল , কাল হয়তো আমি ও আমার পরিবারকে হত্যা করবে।
Search
Popular Posts