ঘুষের সম্পূর্ণ টাকা না পেয়ে অবঃ সেনা সদস্যকে জীবননাশের হুমকি দিলেন তেরখাদা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জা?
শেখ মাহাবুব আলম খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি :
ঘুষের সম্পূর্ণ টাকা না পেয়ে অবঃ সেনা সদস্য মোঃ আলী গফফার মোল্যাকে জীবননাশের হুমকি দিলেন তেরখাদা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেন। এ ব্যাপারে অবঃ সেনা সদস্য মোঃ আলী গফফার মোল্লা খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে তেরখাদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং-৩৩২৷ তারিখ-০৮/০৮/২০২২ ইং। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, আলী গফফার মোল্যা তেরখাদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল হোসেনের নিকট ৪টি মিউটেশন কেসের রিপোর্ট তামিল করতে দেন। এ সময় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলী গফফার মোল্যার কাছে আট হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
এসময় গফফার মোল্লা বলেন, কাজ করেন, কাজ শেষে দেখা যাবে। এই বলে তার কাগজপত্রাদি মোঃ জালাল হোসেনের নিকট রেখে আসেন। গত ৭ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে আলী গফফার মোল্যা তেরখাদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান এবং ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেনের নিকট তার কাজের কথা জানতে চান। তার মিউটেশন কেসগুলো তামিল হয়েছে কিনা তাও জানতে চান। এসময় তিনি ৫ হাজার টাকা দিয়ে জালাল হোসেনকে বলেন আমাকে অনলাইনে খাজনা কেটে দিতে হবে। মোঃ জালাল হোসেন অবঃ সেনা সদস্যকে বলেন তামিলের বাকী টাকা দেন। আলী গফফার বলেন তামিল করতে টাকা লাগে এটা তো জানা ছিলো না। পরে আলী বলেন, বাকী টাকা দিতে পারি তামিলের রশিদ দিতে হবে। এই কথা বলার সাথে সাথে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলী গাফফার মোল্লার উপর দারুণভাবে ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে অবঃ সেনা সদস্য গফ্ফার মোল্যাকে অফিস থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে অফিসে আসলে দেখিয়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেন। আলী গফ্ফার উপায়ন্তর না পেয়ে ওখান থেকে ফিরে আসেন। পরে তিনি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এছাড়া জীবনের নিরাপত্তা হীনতাবোধ করে তিনি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেনের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ বিষয়ে আলী গফফার মোল্যা বলেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জালাল হোসেন তার পোষ্য দালাল এবং সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে। তিনি বলেন তেরখাদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে চিহ্নিত দালালরা সারাদিন বসে বসে ওই ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নির্দেশে দালালি বাণিজ্য করে। তিনি আরো বলেন সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেন খাজনার দাখিলা, মিউটেশনের তদন্তের রিপোর্ট,পর্চা প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে অর্থ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় নিজে, আবার কোনো কোনো সময় দালালদের মাধ্যমে তার বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি গত ৭ আগস্ট প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং তেরখাদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আলী গফ্ফার বলেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জালাল হোসেনের এই অসদ আচরণে এবং ঘুষ বাণিজ্যে জনসাধারণ দারুণভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।