বি.এম.শহিদুল ইসলাম,খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন,বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি শোকাবহ দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদ হন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। সকাল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি আরও বলেন,স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এই দিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এই হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।অথচ ১৮ বছর পার হয়েছে গেছে এখনো কার্যকর হয়নি গ্রেনেড হামলা মামলার রায়।
গত ২০ আগস্ট সকালে রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নৈহাটি ইউনিয়নের সামছুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং নৈহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গসহ সকল শহীদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ফরিদুজ্জামান, রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ সরদার মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ ফ, ম, আব্দুস সালাম , জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আঃ মজিদ ফকির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, উপজেলা প্রকৌশলী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার পিকিং সিকদার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ফকির, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ মোল্লা, সমাজসেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোতালেব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম হাবিব, ইউ পি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, আলহাজ্ব ইসহাক সরদার, মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, সাবেক চেয়ারম্যান খান শাজাহান কবীর প্যারিস, জেলা যুবলীগ নেতা আজিজুল হক কাজল, বিনয় কৃষ্ণ হালদার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল সেন, যুবলীগ নেতা হারুন মোল্লা, রুহুল আমিন রবি, রাজীব দাস টাল্টু, মাধূরী সরকার, সরদার জসীম, সুব্রত বাগচী, শফিকুর রহমান ইমন, আজমল ফকির, আলম খা, রবিউল ইসলাম,মুসা লস্কর,আবুল কালাম আজাদ, রতন মন্ডল, খায়রুজ্জামান সজল, আরাফাত হোসেন সাকিব, ছাত্রনেতা জুয়েল সরদার, সাফিরুল ইসলাম হিমেল, আরিফুজ্জামান কাজল, নাজিম মোড়ল, নাজমুল হুদা অন্জন, রিয়াজ শেখ, রূবেল মোল্যা, রূপম দাস, সাব্বির আহম্মেদ, মুসা মোল্যা সবুজ, ইখতিয়ার লস্কর,আজিজুল মোল্লা,সুকুমার বৈরাগী, স্বপ্না রানী পাল, হোসেন শেখ,অমিত মজুমদার প্রমূখ।