শেখ মাহাবুব আলম:দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল। খুলনা বিভাগসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতলে আসেন হাজারো মানুষ। কিন্তু দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসক সংকট নিয়েই চলছে এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসারসহ শূন্য রয়েছে প্রায় অর্ধশত চিকিৎসকের পদ। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক কম থাকায় সেবা পেতে দীর্ঘ সিরিয়ালের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কার্ডিওলজী বিভাগে অনুমোদিত রয়েছে ১০টি পদ। এর মধ্যে চীফ কনসালটেন্ট, রেজিস্ট্রার ও আর পি এর ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়াও সহকারী সার্জন ২ জনসহ মোট ৫টি পদই শূন্য রয়েছে এই বিভাগে। কার্ডিওথোরাসিক এ্যানেস্থেসিয়া এন্ড ওটি বিভাগে অনুমোদিত ৪টি পদের মধ্যে চিফ কনসালটেন্ট, সিনিয়র কনসালটেন্ট ও সহকারী রেজিস্টারের ৩টি পদই শূন্য রয়েছে। কার্ডিওথোরাসিক এন্ড কার্ডিওভাসকুলার সার্জারী বিভাগে শূন্য রয়েছে সিনিয়র কনসালটেন্ট, সহকারী রেজিস্টার ও এমও/সহকারী সার্জনের ৫টি পদ। নিউরোসার্জারী বিভাগে সিনিয়র কনসালটেন্ট ও এমও/সহকারী সার্জনের ৪টি পদ শূন্য রয়েছে। নিউরোলজী বিভাগে চিফ কনসালটেন্ট ও আরএমও এর ২টি পদ। নেফ্রোলজী বিভাগে মোট ৮টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৩টি পদ। ইউরোলজী বিভাগে শূন্য রয়েছে সহকারী রেজিস্ট্রারের একটি পদ। বার্ন এন্ড প্লাস্টিক রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারী বিভাগে সিনিয়র কনসালটেন্ট, জুনিয়র কনসালটেন্ট, সহকারী রেজিস্টারসহ মোট ৮টি চিকিৎসকের পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৫টি পদ। তবে প্রায় চিকিৎসক শূন্য আইসিইউ বিভাগ। সেখানে সিনিয়র কনসালটেন্ট, জুনিয়র কনসালটেন্ট, সহকারী রেজিস্টার ও এমও/সহকারী সার্জনের মোট ৭টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৫টি। এছাড়াও অর্থোপেডিকস, পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারী, কার্ডিয়াক ওপেনহার্ট সার্জারী, ভাস্কুুলার সার্জারী বিভাগসহ হাসপাতালের সবগুলো বিভাগ মিলিয়ে মোট ৯৪টি পদের বিপরীতে শূন্য রয়েছে ৪৭টি চিকিৎসকের পদ।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা আসে। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়া যায় না। হাসপাতালে রোগীদের যে কোন অপারেশনের জন্য মাসব্যাপী থাকতে হয় সিরিয়ালে। পরবর্তিতে জরুরি সময়ে সিরিয়াল না পেয়ে অনেকেই বেশি টাকা দিয়ে চিকিৎসা করান প্রাইভেট হাসপাতালে। সব মিলিয়ে চিকিৎসক সংকটের কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের।
এ ব্যাপারে হাসপাতালটির পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন জানান, আসলেই চিকিৎসক সংকটের জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগী দেখতে গিয়ে চিকিৎসকরাও একজন রোগীর জন্য পূর্ণাঙ্গ সময় দিতে পারছেন না। এছাড়াও রোগীদের থাকতে হচ্ছে সিরিয়ালে। কিছুদিন আগে হাসপাতালে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে খালি পদ গুলো পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান
Search
Popular Posts